অবশেষে টাকি মাছের ভর্তাও বানিয়ে ফেললাম…. বিদেশ বিভুইয়ে ভর্তা বানানো বেশ ঝামেলার কাজ। আমার একজন জার্মান শিক্ষক জানতে চেয়েছিলেন, ডিনার তৈরী করতে আমাদের কত সময় লাগে, কি কি খাই এইসব। রান্নার প্রিপারেশনে আমাদের যে সময় লাগে সেটা জানার পর আর রান্না শেষ হবার সময় জানার সাহস করেনি বেচারি…… আজকে ভাবছিলাম তাকে টাকি মাছ দিয়ে বলি যে, যাও ভর্তা বানাও তো দেখি….. আমরা বাঙালিরা রান্নার পেছনে যে সময় এবং শ্রম দেই, অন্য কোন দেশের মানুষ মনে হয় না…রান্নার পেছনে এত সময় নষ্ট করে…..
আমাদের মনটাও দেখবেন,একটু বৃষ্টি দেখলেই কেমন যেন খিচুরি খিচুরি করতে থকে। বৃষ্টি আর খিচুরি দুইটা যেন সমার্থক প্রায়। বৃষ্টির সাথে খাবারে সম্পর্কও আমি আমার ভিনদেশি বন্ধৃদের বোঝাতে পারিনি। অথবা মনে করেন, তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে বিকেল বেলা, আপনার মনে হবে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে গরম গরম ভাজা সিঙ্গারা বা চপ কিংবা চানাচুর মুড়ি মাখা!! একজন রাশান বন্ধু বললেন, তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না!! বৃষ্টির রাতে ২ পেগ ভদকা খেয়ে শুয়ে পরি….. বৃষ্টি জঘন্য..এটার ভেতর এত ফ্যান্টাসি আসবেব কোথা থেকে!!!
কথা সত্য!! বৃষ্টি তেমন ভাল কিছু না। বিশেষ করে,কাজে বের হলে তো আমরা মোটামেটি শাপশাপান্ত করি বৃষ্টিকে। তারপরেও দেখবেন, বৃষ্টির ভেতরে মাঝেমাঝে অফিসেও উৎসব উৎসব একটা ভাব আসে। কলিগরা মিলে আবার সেই খিচুরি আনিয়ে অফিসে খাওয়া হয়!! এমনও হয়েছে, তুমুল বৃষ্টির ভেতর আমি আর বাবাই ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা গিয়েছি এলিফ্যান্ট রোডের খুশবুতে মাটন খিচুরি খেতে।
তবে বিষয় হলো, বৃষ্টির দিনে ধোয়া ওঠা ভুনা খিচুরি, টাকি ভর্তা আর চিংড়ি ভর্তার যে স্বাদ ও স্বস্তি সেটার কিন্তু কোন তুলনা চলে না….
Leave a Reply